এসএসসির পরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিহ্মা হতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাধ্যমঃ

টিউন করেছেনঃ | | টিউন বিভাগঃ
এসএসসির পরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
বর্তমানে এই প্রতিযোগিতা পূর্ণ বিশ্বে যোগ্য ও কর্মদক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। ধরা হয়ে থাকে, এসএসসি পাসের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় শিক্ষা জীবনের দিক নির্ধারণ করার সঠিক সময়। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব

সময়ের চাহিদা অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয়, কেনোনা বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে সাধারণ শিক্ষার তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা প্রতিযোগিতামূলক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে।

ক্যারিয়ার হিসেবে কর্মমূখী/কারিগরি শিক্ষা বেছে নেয়াটা বর্তমানে খুবই নির্ভরযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারায় কর্মমূখী/কারিগরি শিক্ষার কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। ফলে পেশা হিসেবে কর্মমূখী/কারিগরি শিক্ষা খুবই সমাদৃত এবং ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন হয়ে উঠেছে।

বর্তমান বিশ্বে চাকরির বাজার এখন এতটাই প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি গ্রহণ করেও চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার শেষে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তার ক্যারিয়ার শুরু করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছাড়াও অসংখ্য দেশি ও বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে এই সেক্টরে।

কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে পড়তে হবে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোতে। দেশে সরকারি এবং বেসরকারি বিপুলসংখ্যক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসব প্রতিষ্ঠান চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলো পরিচালনা করে থাকে। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক জেলাতেই বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। দেশে এখন সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ৪৯টি। আর বেসরকারি পলিটেকনিকের সংখ্যা কয়েক হাজারেরও অধিক। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ছাত্রছাত্রী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে নেবেন।

অন্তর্ভুক্ত কোর্সগুলো-

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করানো হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হল- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সাইন্স, ইলেকট্রোমেডিক্যাল, পাওয়ার, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়া মেরিন, গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস, কেমিক্যাল, টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, গার্মেন্টস অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং, আর্কিটেকচার, ফুড টেকনোলজি, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করানো হয়। সেমিস্টারভিত্তিক এ পড়াশোনা করে বেকার হয়ে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভর্তির যোগ্যতা-

১. ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই এস.এস.সি রেজাল্ট ৩.৫০ ও গনিতে
বা উচ্চতর গনিতে ৩.০০ থাকলে ভর্তির জন্য সরাসরি মোবাইলে আবেদন করতে পারবেন
বা ফরম তুলেও আবেদন করতে পারবেন। শুধু মাত্র ২০১৩,২০১৪,২০১৫ সনের এস.এস.সি পাশকৃত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

২. বেসরকারী পলিটেকনিকে ভর্তি হতে হলে এক্ষেত্রে জিপিএ ২.৫০ থাকলেই চলবে. ২০০৬-২০১৫ সনের পাশকৃত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৩. অনলাইনে আবেদন করলে ১০ টা টেকনোলজি/ বা ট্রেডে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১৫০ টাকা টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
৪. সরকারি পলিটকনিক সমূহে-অনলাইনে ভর্তির জন্য Website: www.techedu.gov.bd সাইট এ ভিজিট করুন
সরকারি টেক্সটাইলে অনলাইনে ভর্তির জন্য বস্ত্র পরিদপ্তর বরাবর আবেদন করুন (textiledirectorate2014@gmail.com)
৫. ভর্তি সম্ভ্যাব্যতা রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে-এস.এস,সি তে চতুর্থ বিষয়ে ২ পয়েন্ট বাদ দিয়ে সর্বো নম্বর ৪৮ ধরা হবে।
(১০*৫=৫০-২)=৪৮।
৬. মেধা তালিকা বিবেচনায় গণিত ও উচ্চতর গণিতের পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। এর পরেও মেধাক্রম করা না গেলে-
ইংরেজি,পদার্থ,রসায়ন সাবজেক্টের পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।
৭. ভর্তিতে কোটা পদ্ধতি চালু থাকবে-
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা তাদের সন্তানদের=৫%
এস.এস.সি ভোকেশনাদের উত্তির্ণদের=১৫%
শিক্ষক ,কর্মচারি= ২%।

#বিঃদ্রঃ বুশরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, বিনেরপোতা, সাতক্ষীরা। এ ভর্তি তথ্য পেতে যোগাযোগ করুন।
0471 65670

Previous
Next Post »
Designed by Engr. G.M.A Mahfuz ™

সাতক্ষীরা সদর,সাতক্ষীরা-৯৪০০
মোবাঃ ০১৯২৩৩৯৯৩৫৬
ই-মেইলঃ gmmahfuz@gmail.com

Powered by প্রযুক্তির রঙ